পুরনো ড্রাগন ফল গাছের যত্ন Can Be Fun For Anyone
পুরনো ড্রাগন ফল গাছের যত্ন Can Be Fun For Anyone
Blog Article
এই স্মার্ট ইরিগেশন সিস্টেম একবার সেটাপ করে নিলে, নিয়মিত সময় অনুযায়ী অটোম্যাটিক ভাবে গাছে পর্যাপ্ত পরিমান পানি পরে আবার পুনরায় অটোম্যাটিক ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।
ড্রাগন ফল গাছে তেমন রোগ পোঁকা- মাকড়ের আক্রমন খাটে না। তাবে কখনো কখনো এ গাছে মূলপঁচা, কান্ড ও গোড়া পঁচা রোগ দেখা যায়। এর জন্য বর্ষাকালে ৭দিন অন্তর অন্তর ব্যাকটেরিয়া নাশক এবং ছত্রাক নাশক একত্রে মিশিয়ে গাছে এবং গোড়ায় প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়াও গাছের গোঁড়ায় যাতে জল না জমে সেই দিকে নিশ্চিৎ হতে হবে।
ছাদ বাগানে সার প্রয়োগের ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। দুই (২) সপ্তাহ পরপর অল্প পরিমাণ সার স্প্রে করতে হবে। প্রথম পর্যায়ে ১ লিটার পানিতে ৫ গ্রাম ইউরিয়া, ৫ গ্রাম টিএসপি, ১-২ গ্রাম বোরণ সার ভাল করে গুলে নিতে হবে ( সেক্ষেত্রে টিএসপি সার ৩/৪ ঘণ্টা আগে ভিজিয়ে রাখা ভাল)। ২য় পর্যায়ে ১ লিটার পানিতে (১ম বারের ২ সপ্তাহ পর) ৫ গ্রাম ইউরিয়া, ৫ গ্রাম জিংক গুলিয়ে নিতে হবে। ৩য় পর্যায়ে ১ লিটার পানিতে (২য় বারের ২ সপ্তাহ পর) ৫ গ্রাম ইউরিয়া, ২-৩ গ্রাম এমওপি সার গুলিয়ে, চারা/ছোট গাছের ক্ষেত্রে ৪/৫টি গাছের গোড়ায় প্রয়োগ করা যেতে পারে, বড় গাছের ক্ষেত্রে (বড় টবে হলে) ২টি গাছের গোড়ায় প্রয়োগ করা যেতে পারে, আবার হাফ ড্রামে হলে ১টি গাছের গেড়ায় প্রয়োগ করা যেতে পারে। এভাবে অল্প অল্প সার আবর্তকভাবে প্রয়োগ করলে ছাদ বাগানে ভালো ফলন পাওয়া যাবে। সার মিশ্রিত পানি পড়ন্ত বিকেলে প্রয়োগ করা ভাল তবে গাছের গোড়ার মাটিতে ঐ পরিমাণ সার মিশ্রিত পানি প্রয়োগ করতে হবে যাতে গোড়ার মাটি পরের দিন শুকিয়ে যায় । বর্ষার সময় গাছের গোড়ায় অতিরিক্ত পানি না জমে সেভাবে সেচ দিতে হবে। ছাদ বাগানে জৈবসার ব্যবহার সব থেকে উত্তম।
ড্রাগন ফলের উপকারিতাগুলো জানার আগে সবার প্রথম জানতে হবে এর পুষ্টিগুণগুলো কী কী। কেননা পুষ্টিগুণ না জানার ফলে উপকারিতাগুলোর কারণ বুঝতে পারবো না। তাই চলুন জানা যাক পুষ্টিগুণগুলা।
অতিরিক্ত সুস্থলতা বা ওজম কামানোর অনেক উপায় রয়েছে। তবে কার্যকারী উপায় অ্যাপ্লাই করার মাধ্যমে শরীরের ওজন হ্রাস করা সম্ভব। প্রোটিন আমাদের দেহে অতিরিক্ত ওজন বাড়তে দেয় না। আর ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রোটিন উপাদান। যা শরীরের অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধিতে বড় একটি বাধা। তাই সুস্থ্য থাকার ক্ষেত্রে ওজন হ্রাস করতে ড্রাগন ফল ভক্ষণ করতে হবে।
গাছে পানি দিতে স্পিংকলার ইরিগেশন সিস্টেম। automated watering method for backyard garden
গাছের রোপণ ও পরিচর্যা : উন্নত কাঙিক্ষত জাতের কলম করা গাছ রোপণ করে গাছে কাঠি বা খুঁটি দিয়ে সোজা করে রাখতে হবে। তাতে গাছ হেলে পড়া বা নড়ে গিয়ে দুর্বল হওয়া রোধ হবে। প্রয়োজনে গাছের অপ্রয়োজনীয় কিছু ডাল বিশেষ করে ওপরের দিকে বেশি বাড়ন্ত ডাল কমিয়ে গাছকে বেশি উঁচু না করে পাশে বাড়তে সহায়তা দিতে হবে। গাছের আকার বেশি ছোট হলে অপেক্ষাকৃত ছোট টবে বা সিমেন্টের পরিত্যক্ত তৈরি ব্যাগে কিছু সময় সংরক্ষণ করে পরবর্তীতে বড় হলে তা পর্যায়ক্রমে বক্স/বড় টবে রোপণ করা ভালো। টবে সংরক্ষিত গাছ সরাসরি ছাদে না রেখে নিচে এক সারি ইটের ওপর বসানো দরকার। তাতে টবের অতিরিক্ত পানি সহজে বের হবে, ছাদের জন্য ভালো হবে। ড্রামে সংরক্ষিত গাছে রোদের তাপে বেশি গরম হয়। এজন্য চট/ছালা দিয়ে ড্রামের চারধার ঢেকে দিলে তা অনেকটা রোধ হবে। গাছে পানি সেচ দেয়ার ফলে উপরিভাগের মাটি শক্ত check here হয়ে চট ধরে। মাঝে মাঝে নিড়ানি দিয়ে ওপরের স্তর ভেঙে দেয়া হলে তা রোধ হবে। এ ব্যবস্থায় আগাছা দমন করা যাবে ও ভেতরে বায়ু চলাচল সুবিধা হবে। খরা মৌসুমে দীর্ঘমেয়াদি বড় গাছের গোড়ার চার ধারে শুকনা কচুরিপানা বা খড়কুটা, শুকনো পাতা দিয়ে মালচিং দেয়া হলে রস সংরক্ষিত থাকবে, ঘাস গজানো রোধ হবে এবং পরে এগুলো পচে খাদ্য হিসেবে কাজে লাগবে।
আঙ্গুর চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত
আপনার ছাদ বাগানে ড্রাগন ফল চাষ করতে পারেন মাটির টবে বা ড্রামে। তবে সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি ২০ ইঞ্চি আকারের ড্রাম বেছে নেন। কারণ এই আকারের ড্রামে চারা ভালোভাবে শিকর ছড়াতে পারবে আর তাতে ফলন অনেক ভালো হবে।
৫ ফুট কেটে হালকা ছায়াতে বেলে দোআঁশ মাটিতে গোড়ার দিকের কাটা অংশ পুতে সহজেই চারা উৎপাদন করা যায়। তারপর ২০ থেকে ৩০দিন পরে কাটিং এর গোড়া থেকে শিকড় বেরিয়ে আসবে। তখন এটা মাঠে লাগানোর উপযুক্ত হবে।
গুরুত্বপূর্ণ লিংক বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট
রক্তে অতিরিক্ত পরিমাণ সুগার থাকা বেশ বিপদজনক। রক্তে সুগারের পরিমাণ বেশি থাকলে ডায়াবেটিস নামক ভয়ঙ্কর রোগটি হয়। রক্তে পরিমান মতো সুগার রাখা দেহের জন্য ভালো। এজন্য রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ড্রাগন ফলে আছে বিভিন্ন রকম খনিজ পদার্থ এবং ভিটামিন সি ও ই। উক্ত উপাদানগুলো আমাদের শরীরে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। শুধুমাত্র সুগার নিয়ন্ত্রণ নয় পাশাপাশি ইনসুলিন তৈরি করতেও সহায়তা করে থাকে। ডায়াবেটিসে নিয়ন্ত্রণ রাখতে ডায়াবেটিসের ব্যায়ামের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত ড্রাগন ফল খেতে হবে।
সেচ : ড্রাগন ফলের গাছে তেমন সেচ লাগে না। তবে শুষ্ক মৌসুমে মাটি শুকিয়ে গেলে অবশ্যই সেচ দিতে হবে। দুই সারির মাঝে পানি বেরিয়ে যাওয়ার জন্য অবশ্যই নালা রাখতে হবে। এসব নালার মুখ আটকে মাঝে মধ্যে পানি ভরে রেখে দিলে সেখান থেকে গাছের শিকড় পানি পায়। তবে লক্ষ রাখতে হবে, এ গাছ অতিরিক্ত পানি সহ্য করতে পারে না। তাই জমিতে যেন পানি জমে না থাকে।
সমতল ভূমির তুলনায় উঁচু স্থান বা পাহাড়ি ভূমিতে কন্টুর পদ্ধতিতে ড্রাগন ফলের কাটিং রোপণ প্রদ্ধতির আদর্শ স্থান। যে স্থানে সহজে জল দাঁড়ায় না এমন উঁচু স্থান ড্রগন গাছের জন্য নির্বাচন করতে হবে এবং দিনে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা সূর্যের আলো পায় তেমন স্থান গাছ বেড়ে ওঠবার জন্য এবং ফল দেওয়ার জন্যে উত্তম। চারা রোপণের জন্য উপযোগী সময় হলো এপ্রিল থেকে অক্টোবর মাস।